জিপিএ ৫ এর পরিবর্তে চালু হচ্ছে সিজিপিএ ৪

এখন থেকে জিপিএ ৫ আর থাকছে না পাবলিক পরীক্ষায়। ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষা থেকেই সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ এখন থেকে আর জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ার সুযোগ থাকছে না।

১৩ জুন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিজিপিএ পুনর্বিন্যাস করে একটি খসড়া উপস্থাপনের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘বৈঠকে জিপিএ ৫-এর পরিবর্তে সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশে সবাই একমত হয়েছেন। আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ফল পর্যালোচনা করব।
এরপর আগামী এক মাসের মধ্যে সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে কীভাবে ফল দেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি খসড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। আগামী জেএসসি থেকেই আমরা সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করতে চাই।’

বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়। এ কারণে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারা সমস্যায় পড়েন।
আর বিদেশে পড়ালেখা ও চাকরির ক্ষেত্রে পড়তে হয় আরও বড় সমস্যায়। তাদের এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেটের সমতা করে তারপর বিদেশে যেতে হয়। এতে অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। 

আমাদের দেশে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতি চালু হয়। যেখানে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৫ । এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড। এরপর ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৪ । 

৬০ থেকে ৬৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫০ । ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৩ । ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ২ । ৩৩ থেকে ৩৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট এক ।
আর শূন্য থেকে ৩২ পাওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট জিরো, লেটার গ্রেড F । জিপিএ ১ অর্জন করলেই তাকে উত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হয়।

বর্তমানে আমাদের দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে  সব বিষয়ে গড়ে ৮০-এর ওপরে নম্বর পেলে সিজিপিএ ৪ ও লেটার গ্রেড হয় A+। এরপর ৭৫ থেকে ৮০-এর মধ্যে সিজিপিএ ৩.৭৫ ও লেটার গ্রেড A । ৭০ থেকে ৭৫-এর মধ্যে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫০ ও লেটার গ্রেড A-,
৬৫ থেকে ৭০-এর মধ্যে পয়েন্ট ৩.২৫ ও লেটার গ্রেড B+, ৬০ থেকে ৬৫-এর মধ্যে পয়েন্ট ৩ ও লেটার গ্রেড  B, ৫৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে পয়েন্ট ২.৭৫ ও লেটার গ্রেড B-, ৫০ থেকে ৫৫-এর মধ্যে পয়েন্ট ২.৫০ ও লেটার গ্রেড C+, ৪৫ থেকে ৫০-এর মধ্যে পয়েন্ট ২.২৫ ও লেটার গ্রেড C, ৪০ থেকে ৪৫ নম্বর পেলে পয়েন্ট ২ ও লেটার গ্রেড D,  বিবেচনা করা হয়। আর ৪০-এর কম নম্বর পেলে ফেল, এর লেটার গ্রেড F, এতে কোনো গ্রেড পয়েন্ট নেই।